প্রান্তজন প্রতিবেদক: দেশে বসে অনলাইনে কাজ করে বিদেশি মুদ্রা অর্জন করছেন, এমন ফ্রিল্যান্সারদের ভার্চ্যুয়াল আইডি কার্ড বা পরিচয়পত্র দিচ্ছে সরকার। এবার এসব ফ্রিল্যান্সারকে ক্রেডিট কার্ড ও ঋণসুবিধা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আজ রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেয়। এতে বলা হয়, তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক শিল্পের মধ্যে ফ্রিল্যান্সারদের আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এই আয় ইতিমধ্যে দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে শুরু করেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে সরকার ফ্রিল্যান্সিং খাতে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ ও উদ্যোক্তা তৈরি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বিনিয়োগ বাড়াতে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে পারদর্শী ফ্রিল্যান্সারদের সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদানের জন্য ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ফ্রিল্যান্সারদের ভার্চ্যুয়াল আইডি কার্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক অনলাইনে কাজ করে বিদেশি মুদ্রা উপার্জনকারী ফ্রিল্যান্সারদের ক্রেডিট কার্ড ও ঋণসুবিধা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে এবং এ ব্যাপারে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ভার্চ্যুয়াল আইডি কার্ডধারী ফ্রিল্যান্সারদের সহজে ঋণসুবিধা ও ক্রেডিট কার্ড সুবিধা দেওয়া হলে সম্ভাবনাময় ফ্রিল্যান্সিং খাত যথাযথভাবে বিকশিত হওয়ার সুযোগ পাবে। এর ফলে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারবেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে সম্ভাবনাময় ফ্রিল্যান্সিং খাতের প্রয়োজনীয় বিকাশের লক্ষ্যে বিদ্যমান ব্যাংকিং আইনকানুন ও বিধিবিধান পরিপালন সাপেক্ষে ভার্চ্যুয়াল আইডি কার্ডধারী আইটি ফ্রিল্যান্সারদের ঋণসুবিধা ও ক্রেডিট কার্ড সুবিধা প্রদানের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ব্যাংকগুলোকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড বা পরিচয়পত্র প্রদানের জন্য একটা ওয়েব পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে, যা থেকে ফ্রিল্যান্সাররা নিবন্ধন সম্পন্ন করে আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত মাসে ফ্রিল্যান্সারদের আইডি কার্ড প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। কর্মসংস্থান, উপার্জন বা দক্ষতার প্রমাণ হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং কার্ডটি ব্যবহার করা যাবে। এ কার্ডে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ব্যাংকিং বা ভিসার আবেদন, বাসা বা অফিসভাড়া, এমনকি বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তির মতো বিষয়গুলো সহজ করবে। দেশের প্রায় সাড়ে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার এই পরিচয়পত্র পাবেন।
ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড বা পরিচয়পত্র প্রদানের জন্য একটা ওয়েব পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে, যা থেকে ফ্রিল্যান্সাররা নিবন্ধন সম্পন্ন করে আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। এটি ফ্রিল্যান্সারদের সামাজিক পরিচিতি তৈরির পাশাপাশি ব্যাংক ঋণপ্রাপ্তি ও তাঁদের ক্ষমতায়নে সহায়ক হবে। ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড পেতে হলে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।