চট্টগ্রামকে হারিয়ে ফাইনালে খুলনা, মাশরাফির ৫ উইকেট

1088
mashrafee

ক্রীড়া প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে উঠেছে জেমকন খুলনা। মাশরাফি বিন মর্তুজার বিধ্বংসী বোলিংয়ে প্রথম কোয়ালিফায়ারে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে ৪৭ রানে হারিয়েছে মাহমুদউল্লাহর দল।
ফলে সরাসরি ফাইনালে উঠলো খুলনা। অন্য দিকে হেরেও ফাইনালে খেলার আরও একটি সুযোগ পাচ্ছে চট্টগ্রামে। মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে বেক্সিমকো ঢাকার মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম।

মিরপুরে আগে ব্যাট করে জহুরুল ইসলাম অমির অর্ধশতকে ভর করে ৭ উইকেটে ২১০ রানের বিশাল স্কোর দাঁড় করায় খুলনা। জবাবে ব্যাট করতে মাশরাফির টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ১৬৩ রানের অলআউট হয় চট্টগ্রাম।

২১১ রানের বিশাল টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় চট্টগ্রাম। প্রথম ওভারেই আউট হয়ে ফিরে যান সৌম্য সরকার (০)। এরপর দুর্দান্ত ছন্দে থাকা লিটন দাসও ভালো শুরুর আভাস দেয়। কিন্তু ১৩ বলে ২৪ রান করেও লিটনও বিদায় নেন। ২৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় চট্টগ্রাম। এই দুই ওপেনারকেই মাশরাফি ফেরান।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ও মাহমুদুল হাসান জয় সেই চাপ দূর করার চেষ্টা করে। ৭৩ রানের জুটি গড়ে দলের জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখে। জয় ২৭ বলে ৩১ রান করে আউট হন। অন্যদিকে ৩০ বলে অর্ধ শতক করেন। ৩৫ বলে ৫৩ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন।

এরপর খুলনার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ধীরে ধীরে ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে থাকে চট্টগ্রাম। রান রেট ক্রমেই বাড়তে থাকে। মোসাদ্দেক হোসেন (১৫), শামসুর রহমান (১৮) কেউই সেই রান আর তাড়া করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৯.৪ বলে ১৬৩ রানে অলআউট হয় চট্টগ্রামের।

খুলনার মাশারফি বিন মর্তুজা ৩৫ রানে ৫ উইকেট নেন। তার ঝুলিতে ছিলেন লিটন দাশ, সৌম্য সরকার, মাহমুদুল হাসান জয়, শামসুর রহমান শুভ ও মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া হাসান মাহমুদ ও আরিফুল হক ২টি এবং সাকিব আল হাসান ১টি উইকেট নেন।

মিরপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে খুলনাকে দারুণ সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার জহুরুল ইসলাম অমি ও জাকির হাসান। ৭১ রান আসে তাদের ব্যাট থেকে। এতে জহুরুলের অবদান বেশি। জাকির ১৬ রান করে বিদায় নেন। তবে জহুরুল ঠিকই দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন। ৪টি চার ও ২টি ছয়ে ৩৩ বলে অর্ধশতক তুলে নেন জহুরুল।

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ইমরুল কায়েসকে সঙ্গে নিয়ে ৩০ বলে ৪৮ রানে জুটি গড়েন জহুরুল। দলীয় ১১৯ রানের মাথায় ইমরুল ১২ বলে ২৫ রান করে বিদায় নেন। এরপর দারুণ খেলতে থাকা জহুরুল ৫১ বলে ৮০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান। দলের রান তখন ৩ উইকেটে ১৩২ রান।

চতুর্থ উইকেট জুটিতে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৩১ রানের জুটি গড়েন। রিয়াদ ৯ বলে ৩০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হন। এরপর সাকিবের ১৫ বলে ২৮ রানের ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে দলের রান দুইশ পেরোয়। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ২১০ রান করে খুলনা।

চট্টগ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান ২টি এবং মোসাদ্দেক হোসেন ও সঞ্জিত সাহা ১টি করে উইকেট নেন।

১৮ ডিসেম্বর ফাইনালে জেমকন খুলনার প্রতিপক্ষ দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচের জয়ী দল বেক্সিমকো ঢাকা অথবা গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম।